UBG NEWS, কোচবিহারঃ ঝাঁ-চকচকে কোচবিহার সাগরদিঘী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের পর্যটন এবং সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে সাগরদিঘী কে একটি আলাদা মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ইতিমধ্যেই সাগরদিঘী চত্বর পরিষ্কার করেছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন।
কিন্তু তারপরেও প্রায়ই অভিযোগ আসছিল প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো সন্ধ্যা বাড়তি বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে সাগরদিঘী চত্বর। অফিস ঘেরাও সাগর দিঘীর পাড়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো জেলাশাসক করণ। সোজা বাংলায় বললে ডিএম অফিস। তার পাশেই রয়েছে কোচবিহার উৎসব অডিটোরিয়াম।
জাঁকজমক করে অডিটোরিয়ামের উদ্বোধনের সময় লাগানো হয়েছিল লাইট তৈরি হয়েছিল ছোট্ট ফুলের বাগান। সে সব এখন অতীত। তার জায়গায় স্থান করে নিয়েছে গাঢ় অন্ধকার।আর সেই অন্ধকার এই ভিড় জমাচ্ছে ১৩ থেকে কুড়ি বছরের কিশোর কিশোরীরা।
কারো হাতে সিগারেট এ ভরা গাজা, কেউবা আবার ছোট্ট করে চুমুক দিচ্ছে মদের বোতলে। দেখলেই বোঝা যায় এরা প্রায় সকলেই স্কুল অথবা কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। মাদকাসক্ত হয়ে তারা একদিকে যেমন নিজেদের ভবিষ্যত নষ্ট করছে ঠিক তার পাশাপাশি নষ্ট করছে সাগরদিঘী এলাকার ঐতিহ্য কেউ।
গতকাল আমাদের নিউজ পোর্টাল এ আমরা তুলে ধরি সাগর দীঘির এই চিত্র। আর সেই খবর প্রকাশিত হবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিল কোচবিহার জেলা পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় সেইসব জায়গায় কোচবিহার টাউন বাবু সৌগত দাস এর নেতৃতে চলল অভিযান। পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে সাগরদিঘি চত্বর থেকে আটক হয়েছে ৪ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের এরকম অভিযান লাগাতার চলবে। পুলিশের এই অভিযানে খুশি কোচবিহারবাসী।
পুলিশ প্রশাসন যাই করুক না কেন সব থেকে বড় প্রশ্ন বাচ্চাদের অভিভাবকেরা কি করছেন। বর্তমানে চাকরিজীবী বাবা-মার উচ্ছন্নে যাওয়া সন্তান, কথাটা কোথাও কি কোচবিহারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হচ্ছে ?? প্রশ্ন আরো মারাত্মক, এদের মধ্যে কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে, তার দায়ভার কে নেবে?? যদিওবা জেলা পুলিশকে জানানো হলে দেখছি দেখব করে চলে যাচ্ছে দিন। দেখে না কেউ।